জেড এইচ সিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

[woocatslider id=”2997″]

জয়নুল হক সিকদার সাহেবের কল্যাণমূলক কর্ম, যা আমাদের অবশ্যই জানা উচিৎ।

জীবনের প্রথমার্ধঃ Zainul Haque Sikder জয়নুল হক সিকদার ব্রিটিশ ভারতের আসামে জন্মগ্রহণ করেন ১২ আগস্ট ১৯৩০ সালে। ভারত বিভাগের সময় তিনি পূর্ব বাংলায় চলে আসেন।

সূচনাঃ জয়নুল হক সিকদার একজন বাংলাদেশী ব্যবসায়ী এবং সিকদার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তিনি ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড, সিকদার রিয়েল এস্টেট লিমিটেড, সিকদার ফার্মা, মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, জেড এইচ সিকদার উইমেন্স মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং জেডএইচ শিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ পোস্টের মালিকও ছিলেন। এছাড়াও তিনি পাওয়ারপ্যাক ইকোনমিক জোন, পাওয়ার প্যাক হোল্ডিংস, পাওয়ার প্যাক পোর্টস এবং সিকদার ইন্স্যুরেন্সের মালিক ছিলেন।

কর্মজীবনঃ সিকদার রিয়েল এস্টেটে ব্যবসায়িক জীবন শুরু করেন। তিনি ১৯৫০-এর দশকে সিকদার গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে লড়েছেন। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫-এ বাংলাদেশে অভ্যুত্থানে শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর, সিকদার ১৯ আগস্ট ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য প্রার্থনার আয়োজন করেন। এ কারণে তাকে গ্রেফতার করে কারারুদ্ধ করা হয়।

১৯৯২ সালে সিকদার জেডএইচ সিকদার মহিলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি কোদালপুরে আবদুর রাজ্জাক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়, জরিনা সিকদার গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মনোয়ারা সিকদার গার্লস হাই স্কুল এবং মকফর উদ্দিন জাতীয় আইন কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।

২০০৯ সালে সিকদার ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড কিনে নেন। তিনি ম্যান্ডি ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন।

সিকদার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত কোই রিসোর্টের চেয়ারপারসন ছিলেন, যার সেন্ট কিট্‌স এবং নেভিসে একটি বিলাসবহুল রিসোর্ট রয়েছে।

ব্যক্তিগত জীবনঃ সিকদারের স্ত্রী মনোয়ারা সিকদার ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান হিসেবে তার স্থলাভিষিক্ত হন। তাদের পাঁচ ছেলে ও তিন মেয়ে। সিকদারের ছেলে রন হক সিকদার সিকদার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। দীপু হক সিকদার তার আরেক ছেলে রিক হক সিকদার সিকদার গ্রুপের পরিচালক। তার মেয়ে পারভীন হক সিকদার সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য। তার ছেলে নিক হক সিকদারও সিকদার গ্রুপের সঙ্গে জড়িত। তার বাকি ছেলে মমতাজুল হক সিকদার এবং মেয়েরা হলেন লিসা ফাতেমা হক সিকদার ও নাসিম সিকদার।

মৃত্যুঃ ২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ের সৌদি জার্মান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিকদার মারা যান। তিনি দুবাইয়ে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত জটিলতায় মারা গেছেন। তাকে- জেডএইচ সিকদার উইমেন্স মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে দাফন করা হয়।