Blog

তাজউদ্দীন আহমদ

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী “বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদ” 

তাজউদ্দীন আহমদ (২৩ জুলাই ১৯২৫ – ৩ নভেম্বর ১৯৭৫) বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ও স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম নেতা। তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তাজউদ্দীন আহমদ মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন যা “মুজিবনগর সরকার” নামে অধিক পরিচিত। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে তিনি বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী হিসাবে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপরিবারে নিহত হওয়ার পর আরও তিনজন জাতীয় নেতা-সহ তাঁকে বন্দি করে পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়। পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর বন্দি অবস্থায় তাঁকে হত্যা করা হয়।

ব্যক্তিগত জীবন:

তাজউদ্দীন আহমদ ১৯২৫ সালের ২৩ জুলাই গাজীপুর জেলার অন্তর্গত কাপাসিয়ার দরদরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মৌলভী মোঃ ইয়াসিন খান এবং মাতা মেহেরুননেসা খান।

তার স্ত্রী সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীন ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। তাদের ৪ সন্তান রয়েছে। বড় মেয়ে শারমিন আহমদ রিপি; মেজো মেয়ে লেখিকা ও কলামিস্ট এবং গাজীপুর-৪ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমি এবং কনিষ্ঠা মেয়ে মাহজাবিন আহমদ মিমি। পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সন্তান তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ গাজীপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে আসীন অবস্থায় পদত্যাগ করেন ও ৭ জুলাই, ২০১২ইং তারিখে তার আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়।

শিক্ষাজীবন:

৪ ভাই, ৬ বোনের মাঝে ৪র্থ তাজউদ্দীন আহমদের পড়াশোনা শুরু বাবার কাছে আরবি শিক্ষার মাধ্যমে। এই সময়ে ১ম শ্রেণীতে ভর্তি হন বাড়ির দুই কিলোমিটার দূরের ভূলেশ্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে৷ ১ম ও ২য় শ্রেণীতে ১ম স্থান অর্জন করেন৷ ৪র্থ শ্রেণীতে ভর্তি হন বাড়ি থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরের কাপাসিয়া মাইনর ইংলিশ স্কুলে। এরপর পড়েছেন কালিগঞ্জ সেন্ট নিকোলাস ইনস্টিটিউশন, মুসলিম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ঢাকা ও সেন্ট গ্রেগরিজ হাই স্কুলে। তাজউদ্দীন আহমদ কোরআনে হাফেজ ছিলেন, যা তিনি নিয়মিত লেখাপড়ার পাশাপাশি বাবার সান্নিধ্যে আয়ত্ত করেন। তিনি ম্যাট্রিক (১৯৪৪) ও ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (তৎকালীন জগন্নাথ কলেজ) থেকে অবিভক্ত বাংলার সম্মিলিত মেধাতালিকায় যথাক্রমে দ্বাদশ ও চতুর্থ স্থান (ঢাকা বোর্ড ) লাভ করেন। ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে বি.এ (সম্মান) ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৬৪ সালে রাজনৈতিক বন্দী হিসেবে কারাগারে থাকা অবস্থায় এল.এল.বি. ডিগ্রীর জন্য পরীক্ষা দেন এবং পাস করেন।

রাজনৈতিক জীবন:

রাজনৈতিক জীবনের সূচনা: আবুল হাশিম প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর ১৯৪৩ সালে তাজউদ্দীন আহমদ মুসলিম লীগের রাজনীতিতে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত হন। ১৯৪৪ সালে বঙ্গীয় মুসলিম লীগের কাউন্সিলের সদস্য নির্বাচিত হন।

পাকিস্তান আমল:

১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি গঠিত পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের (বর্তমানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ) অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ। ১৯৪৮-এর ১১ এবং ১৩ মার্চ সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে ধর্মঘট-কর্মসূচী ও বৈঠক করেন৷ ২৪ মার্চ মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর সাথে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের নেতারাসহ তিনি বৈঠক করেন৷ তিনি ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী মুসলিম লীগের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন। ছিলেন সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের সদস্য। ১৯৫৩ থেকে ১৯৫৭ পর্যন্ত ঢাকা জেলা আওয়ামী মুসলিম লীগের (১৯৫৫ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগ নাম পরিবর্তিত হয়ে হয় আওয়ামী লীগ) সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৪-এর নির্বাচনে তিনি যুক্তফ্রন্ট প্রার্থী হিসেবে মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদককে পরাজিত করে পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৬৪ সালে প্রাদেশিক আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং ১৯৬৬ সালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৬৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে যে সর্বদলীয় নেতৃসম্মেলনে শেখ মুজিবুর রহমান ছয়দফা দাবি উত্থাপন করেন, সেই সম্মেলনে শেখ মুজিবের সাথে তিনিও যোগদান করেন। সম্মেলনের বিষয় নির্বাচনী কমিটিতে তাজউদ্দীন ছিলেন অন্যতম সদস্য। এই বছরের ৮ মে তিনি দেশরক্ষা আইনে গ্রেফতার হন। ১৯৬৮ সালে জেলে থাকা অবস্থাতেই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে পুণঃনির্বাচিত হন। ৬৯’এর গণঅভ্যুত্থানের ফলশ্রুতিতে জেল থেকে মুক্তি পান। ১৯৭০ সালে তৃতীয়বারের মতো আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। এই বছরের সাধারণ নির্বাচনের জন্য গঠিত আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারি বোর্ডের সেক্রেটারি নির্বাচিত হন। ৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে তিনি জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।

মুক্তিযুদ্ধকালীন ভূমিকা:

নির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে জয়লাভের পরও ইয়াহিয়া খান আওয়ামী লীগের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত করায় শেখ মুজিবের ডাকে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী গণহত্যা শুরু করে। বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় পশ্চিম পাকিস্তানে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। তাজউদ্দীনের ভাষায়, ‘আমি সেদিন সাড়ে সাত কোটি বাঙালির স্বার্থে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তা হলো: একটি স্বাধীন সরকার প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম পরিচালনার জন্য কাজ শুরু করা৷’

প্রথমে আত্মরক্ষা তারপর প্রস্তুতি এবং সর্বশেষে পাল্টা আক্রমণ এই নীতিকে সাংগঠনিক পথে পরিচালনার জন্য তিনি সরকার গঠনের চিন্তা করতে থাকেন। তাই তাজউদ্দীন আহমদ আত্মগোপন করেন এবং যুদ্ধকে সংগঠিত করার জন্য সীমান্তের দিকে যাত্রা করেন। এরই মধ্যে ৩০ মার্চ সন্ধ্যায় তিনি ফরিদপুর কুষ্টিয়া পথে পশ্চিম বাংলার সীমান্তে পৌঁছান। ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে ৩১ মার্চ মেহেরপুর সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে পদার্পণ করেন। সীমান্ত অতিক্রম করার বিষয়ে মেহেরপুরের মহকুমা শাসক তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী তাদের সার্বিক সহায়তা প্রদান করেন। সীমান্ত অতিক্রম করার পর ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মহাপরিদর্শক গোলক মজুমদার তাজউদ্দীন আহমদ ও ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলামকে যথোপযুক্ত সম্মান প্রদর্শনপূর্বক তাদের নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেন। গোলক মজুমদারের কাছে সংবাদ পেয়ে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মহাপরিচালক কেএফ রুস্তামজী তাদের আশ্রয়স্থলে এবং তাজউদ্দিন আহমদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেন এবং পূর্ববাংলা সার্বিক পরিস্থিতি এবং বাঙালির স্বাধীনতা লাভের অদম্য স্পৃহা সম্পর্কে সম্যক অবগত হন। সীমান্তে পৌঁছে তাজউদ্দিন দেখেন যে বেঙ্গল রেজিমেন্টের বিদ্রোহী সেনাদের সমর্থনে ভারত সরকার থেকে নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত ভারতীয় সামরিক বাহিনী এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কিছুই করার নেই। মুক্তিফৌজ গঠনের ব্যাপারে তাজউদ্দীন আহমদ বিএসএফ এর সাহায্য চাইলে তৎকালীন বিএসএফ প্রধান তাকে বলেন যে মুক্তি সেনা ট্রেনিং এবং অস্ত্র প্রদান সময় সাপেক্ষ কাজ। তিনি আরো বলেন যে ট্রেনিং বিষয়ে তখন পর্যন্ত ভারত সরকারের কোন নির্দেশ না থাকায় তিনি মুক্তিবাহিনীকে ট্রেনিং ও অস্ত্র দিতে পারবেন না। কেএফ রুস্তামজী দিল্লির ঊর্ধ্বতন সাথে যোগাযোগ করলে তাকে জানানো হয় তাজউদ্দীন আহমদ ও ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলামকে নিয়ে দিল্লি চলে আসার জন্য। উদ্দেশ্য ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এবং তাজউদ্দিন আহমদের বৈঠক। দিল্লিতে যাবার পর ভারত সরকার বিভিন্ন সূত্র থেকে নিশ্চিত হন যে, তাজউদ্দীন আহমদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠতম সহকর্মী। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকের আগে ভারত সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাজউদ্দিন আহমদের কয়েক দফা বৈঠক হয় এবং তিনি তাদের বাঙালির মুক্তি সংগ্রাম পরিচালনার জন্য যেসব সাহায্য ও সহযোগিতার প্রয়োজন তা বুঝিয়ে বলেন। এসময় তিনি উপলব্ধি করেন যে আওয়ামী লীগের একজন নেতা হিসেবে তিনি যদি সাক্ষাৎ করেন তবে সামান্য সহানুভূতি ও সমবেদনা ছাড়া তেমন কিছু আশা করা যায় না। সরকার গঠন ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ঐ সরকারের দৃঢ় সমর্থন ছাড়া বিশ্বের কোন দেশই বাংলাদেশের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে না। এছাড়া ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের আগের দিন এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাজউদ্দীনের কাছে জানতে চান যে স্বাধীন বাংলাদেশের পক্ষে কোন সরকার গঠিত হয়েছে কিনা। তখন তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে বৈঠকে তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিরূপে নিজেকে তুলে ধরবেন। কারণ এতে ‘পূর্ব বাংলার জনগণের সংগ্রামকে সাহায্য করার জন্য ৩১ মার্চ ভারতীয় পার্লামেন্টে যে প্রস্তাব গৃহীত হয়’ তা কার্যকর রূপলাভ করতে পারে বলে তাজউদ্দিনের ধারণা হয়। ইন্দিরা গান্ধীর সাথে বৈঠকের সূচনাতে তাজউদ্দিন জানান যে পাকিস্তানি আক্রমণ শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই ২৫/২৬ মার্চেই বাংলাদেশকে স্বাধীন ঘোষণা করে সরকার গঠন করা হয়েছে। শেখ মুজিব সেই স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের প্রেসিডেন্ট এবং মুজিব – ইয়াহিয়া বৈঠকে যোগদানকারী সকল প্রবীণ সহকর্মীই মন্ত্রিসভার সদস্য। মুজিবের গ্রেফতার ছাড়া তখন পর্যন্ত দলের অন্যান্য প্রবীণ নেতা-কর্মীর খবর অজানা থাকায় সমাবেত দলীয় প্রতিনিধিদের সাথে পরামর্শক্রমে দিল্লির উক্ত সভায় তাজউদ্দীন নিজেকে প্রধানমন্ত্রীরূপে তুলে ধরেন। ঐ বৈঠকে তাজউদ্দীন আহমদ ইন্দিরা গান্ধীর কাছে স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানের জন্য অনুরোধ করেন। ইন্দিরা গান্ধী তাকে এই বলে আশ্বস্ত করেন যে, উপযুক্ত সময়ে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়া হবে। এভাবেই অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের ধারণার সূচনা।

৪ঠা এপ্রিল দিল্লিতে ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে তাজউদ্দীনের আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়। ১০ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার মুজিবনগরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সনদ ঘোষণা করা হয়। ১১ এপ্রিল তাজউদ্দীন বেতারে ভাষণ দেন। ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে আনুষ্ঠানিকভাবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তাজউদ্দীন আহমদ হন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। অস্থায়ী সরকার ১৬ই ডিসেম্বর স্বাধীনতা অর্জন পর্যন্ত কলকাতা থেকে কার্য পরিচালনা করে। তাজউদ্দীন আহমদ দৃঢ়তা ও নিষ্ঠার সাথে এতে নেতৃত্ব দেন।

১৭ এপ্রিল বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠনের পর তাজউদ্দিন আহমেদ ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলামকে সাথে নিয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। কিন্তু ভারতের সীমান্তে পৌঁছে, তিনি বিনা প্রটোকলে ভারতে প্রবেশ করেন নাই। তিনি ঐ সময় বলেন, একটি স্বাধীন দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অন্য দেশে তিনি কোন প্রটোকল ও আমন্ত্রন ছাড়া প্রবেশ করতে পারেন না। এটা করলেও তার দেশের জন্য অসম্মানজনক। অতঃপর ওপারের ভারতীয় বাহিনী তাকে গার্ড অফ অনার দিয়ে ভারতে নিয়ে যায়।

স্বাধীন বাংলাদেশ:

২২শে ডিসেম্বর তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ বাংলাদেশ সরকারের নেতৃবৃন্দ ঢাকায় প্রত্যাবর্তন করেন। শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ফিরে আসলে তাজউদ্দীন আহমদ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান। তিনি অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি সাবেক ঢাকা-২০ আসন বর্তমান গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় বাজেট পেশ করেন, প্রথম পাঁচশালা পরিকল্পনা প্রণয়ন করেন।

১৯৭৪ সালে আওয়ামী লীগের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলের সমাপনী অধিবেশনের বক্তৃতায় তিনি দল, সরকার এবং নেতা ও কর্মীদের মাঝে দূরত্ব দূর করে, সংগঠন এবং সরকারের মাঝে এক নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানান৷

পরবর্তীকালে শেখ মুজিবের সাথে তাজউদ্দীনের দূরত্ব সৃষ্টি হয়। শেখ মুজিবের সঙ্গে তার দীর্ঘ ৩০ বছরের বিশ্বস্ত এই রাজনৈতিক সহকর্মীর ভুল বোঝাবুঝি হয়। ১৯৭৪ সালের ২৬শে অক্টোবর তাজউদ্দীন মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট প্রথম গৃহবন্দী ও পরে ২৩ আগস্ট গ্রেফতার করা হয় তাকে।

মৃত্যু:

১৫ আগস্ট, ১৯৭৫-এ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার পর হত্যাকারীদের নির্দেশে তাজউদ্দীন আহমদকে গৃহবন্দী করা হয়। ২৩ আগস্ট সামরিক আইনের অধীনে তাজউদ্দীন আহমদ-সহ ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়। ৩রা নভেম্বরে কারাগারের ভিতরে তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মুহাম্মদ মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে জেল হত্যা দিবস নামে পরিচিত।

জনপ্রিয় সংষ্কৃতিতে

  • ২০০৭ খ্রিস্টাব্দে তানভীর মোকাম্মেল তাজউদ্দীন আহমেদকে নিয়ে “তাজউদ্দীনঃ বিস্মৃত বীর” নামক প্রামাণ্য তথ্যচিত্র নির্মাণ করেন, যা একই বছরের ২৫শে মার্চ মুক্তি পায়।
  • ২০১৬ সালে নবীন লেখক সুহান রিজওয়ান তার “সাক্ষী ছিল শিরস্ত্রাণ” নামক রাজনৈতিক উপন্যাসে তাজউদ্দীন আহমেদের চরিত্রকে কেন্দ্রীয় চরিত্র হিসেবে উপস্থাপন করে উক্ত চরিত্রের দৃষ্টিকোণ থেকে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়কে নিজস্ব ঢঙে চিত্রায়িত করেন।
  • ২০২০ সালের আগস্ট ১৯৭৫ চলচ্চিত্রে তৌকির আহমেদ তাজউদ্দীনের চরিত্রে অভিনয় করেন।
  • বাংলাদেশের গাজীপুর জেলার সদর থানায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ ও বঙ্গতাজ অডিটোরিয়াম মিলনায়তন তার নামে নামকরণ করা হয়েছে।
  • ২০২৩ সালের আগস্টে দেশের একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় বলে পরিচিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে তাজউদ্দীন আহমেদের স্বরণে শহীদ তাজউদ্দীন হল নামে একটি আবাসিক হলের নামকরণ করা হয়েছে।

লিমিটেড কোম্পানি এবং সমাজের বিত্তশালী মানুষ।

এভাবেই তৈরি হয় এক-একটি লিমিটেড কোম্পানি… এবং সমাজের বিত্তশালী মানুষ।

আমার ১ কোটি টাকা আছে, আমি ব্যাংক থেকে আরো ১ কোটি টাকা লোন নিলাম, মোট ২ কোটি টাকা দিয়ে একটা বিস্কুট কোম্পানি বানালাম, এর নাম দিলাম “ABC Limited”।

এবার একটা মার্চেন্ট ব্যাংকে গেলাম, সোনালী ব্যাংকের মার্চেন্ট ব্যাংক, মার্চেন্ট ব্যাংকের হেড অফ অপারেশনকে বললাম আমার বিস্কুট কোম্পানি ABC Limited কে স্টক এক্সচেঞ্জ এ লিস্টেড করতে চাই।

কিন্তু স্টক এক্সচেঞ্জ এর নিয়ম হচ্ছে মিনিমাম ৪০ কোটি টাকার নিচের কোন পেইড-আপ ক্যাপিটাল এর কোম্পানিকে লিস্টেড করা যায় না, কিন্তু আমার কোম্পানি তো মাত্র ২ কোটি টাকার কোম্পানি!

মার্চেন্ট ব্যাংকের হেড অফ অপারেশন বললেন, “সমস্যা নাই ভাই, আপনার কোম্পানি আমরা লিস্টেড করে দিবো, কিন্তু শর্ত হচ্ছে আপনি আমাকে ৮ কোটি টাকা দিবেন, আমি কষ্ট করবো, আমার পারিশ্রমিক হিসাবে আপনি আমাকে আলাদা ২ কোটি টাকা দিবেন, এইটা আবার আমার ব্যাঙ্ক যেন না জানে, টোটাল ১০ কোটি টাকা”।

আমি জবাব দিলাম, “আমি কিভাবে ১০ কোটি টাকা দিবো!”

মার্চেন্ট ব্যাংকের হেড অফ অপারেশন বললেন, “আপনার নিজের পকেট থেকে এক টাকাও দিতে হবে না, আমরা মার্কেট থেকে আপনাকে টাকা তুলে দিবো, আপনি ওখান থেকে আমাকে ১০ কোটি টাকা দিবেন, আপনি আপনার ৫০ পার্সেন্ট শেয়ার বিক্রি করবেন আর বাকি ৫০ পার্সেন্ট শেয়ার নিজের কাছে রেখে দিবেন”।

আমি ওনার শর্তে রাজি হলাম,
এবার ওই মার্চেন্ট ব্যাংকের হেড অফ অপারেশন অডিট ফার্ম এ গেলো, গিয়ে বললো,”এই ABC Limited স্টক এক্সচেঞ্জ এ লিস্টেড করবো”।

অডিট ফার্ম বললো, “কি করতে হবে শুধু হুকুম করেন”।

হেড অফ অপারেশন বললেন, “বেশি কিছু না, কেবল এই ২ কোটি টাকার কোম্পানিকে ৪০ কোটি টাকা ভ্যালুয়েশন করে দেখাতে হবে”।

অডিট ফার্ম বললো, “কোনো সমস্যা নাই, তবে বস এবার কিন্তু একটু বাড়িয়ে দিতে হবে, স্টাফদের স্যালারি দিয়ে মাস শেষে লোকসান হচ্ছে, এবার ২ কোটি টাকার নিচে পারবো না” শেষ পর্যন্ত নেগোসিয়েশন করে ১ কোটি টাকায় রাজি হলো ২ জন।

এবার হেড অফ অপারেশন সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন চেয়ারম্যান এর পিওনকে ফোন দিল (পিওন ভেবে অর্ডিনারি পিওন ভাবার সুযোগ নাই, এই পিওন বাকি ১০০ টা পিওনের মতো অর্ডিনারি পিওন না, এই পিওন অনেক পাওয়ারফুল)। পিওনকে বল্লো নতুন একটা বিস্কুট কোম্পানি মার্কেটে লিস্টেড করতে হবে, কাজ টা করে দিতে হবে, পিওন বললো, “স্যার কিন্তু এখন ২.২০ কোটি টাকার নিচে কোনো কাজ পাশ করে না, এর নিচে কাজ হবে না, আর জিনিষপাতির দাম বাড়ছে, বউ বাচ্চা নিয়ে না খাওয়ার অবস্থা, মেয়েটার ভার্সিটির বেতন বাকি পড়ছে আমার দিক একটু দেইখেন।”

হেড অফ অপারেশন বললো, “ওকে ডিল ফাইনাল কাজ করে দেন”

হেড অফ অপারেশন এবার স্টক এক্সচেঞ্জ এর টপ লেভেল এ যোগাযোগ করলো, বলল, “এই বিস্কুট কোম্পানি অপ্প্রভ করে দিতে হবে”।

স্টক এক্সচেঞ্জ বললো, “ঠিক আছে কিন্তু ২ কোটি টাকা নিব, এর নিচে হবে না”

২ জনে রাজি হলো, ডিল ফাইনাল।
এবার ২ কোটি টাকার বিস্কুট কোম্পানিকে ৪০ কোটি টাকা দেখিয়ে আইপিওর জন্য এপলাই করা হলো, ৫০ পার্সেন্ট শেয়ার মানে ২০ কোটি টাকার শেয়ার মার্কেট এ ছাড়া হলো, প্রিমিয়াম প্রাইস ৫ টাকা যোগ করে, সো ৩০ কোটি টাকা।

মানে ১ কোটি টাকার অরিজিনাল শেয়ার বিক্রি করে মার্কেট থেকে তোলা হলো ৩০ কোটি টাকা।

এবার আমি আমার কথা মতো ১০ কোটি টাকা সোনালী ব্যাংক এর মার্চেন্ট ব্যাংকের হেড অফ অপারেশনকে বুঝিয়ে দিলাম, আর বাকি টাকা আমার, মানে আমার পকেটে ঢুকলো ২০ কোটি টাকা।

হেড অফ অপারেশন স্টক এক্সচেঞ্জকে ২ কোটি টাকা দিলো, আর স্টক এক্সচেঞ্জ এ যারা আছে তারা এই ২ কোটি টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিলো, অডিট ফার্মকে দিলো আরো ১ কোটি টাকা, আর বাকি টাকা সোনালী ব্যাংক এর কমিশন হিসাবে নিলো, নিজের জন্য বাকি টাকা।

আর ২.২০ কোটি টাকা দিলো সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এর চেয়ারম্যান এর পিওনকে, সাথে পিওনের মেয়ের ভার্সিটির বকেয়া বেতন বাবদ দিলে আরো ১০ লক্ষ টাকা।

পিওন তার স্যারকে বলল, “স্যার দুনিয়ায় এখন আর মানুষ নাই, সব অমানুষ হয়ে গেছে, আমাকে বলছিলো ২ কোটি টাকা দিবে কিন্তু ২০ লক্ষ টাকা কম দিছে, আমারে বলছিলো কিছু টাকা দিবে, একটা টাকাও দিলো না স্যার” সে তার স্যারকে ১.৮০ কোটি টাকা দিলো, স্যার পিওনকে ২ লক্ষ টাকা দিয়ে নিজের কাছে ১ কোটি টাকা রেখে বাকি টাকা কয়েকটা খামে ভরে তার কলিগদেরকে পাঠিয়ে দিলো।

এইটুকু পর্যন্ত অনিয়ম আর কারসাজির প্রথম স্টেজ শেষ।

এবার দ্বিতীয় স্টেজ,
ABC Limited মার্কেট এ লিস্টেড হলো আর আইপিও প্রাইস হলো ১৫ টাকা।
ট্রেড শুরু হলো, এক একটা ১৫ টাকার শেয়ার পাবলিক ৫০ টাকা করে বাই করলো।

আমার তো মাথা খারাপ, আমার বাকি অরিজিনাল ১ কোটি টাকার শেয়ার এর মার্কেট ভ্যালু ১০০ কোটি টাকা! আর অলরেডি তো ২০ কোটি টাকা পকেটে ঢুকাইছি, এবার আমি আমার বাকি ৫০ পার্সেন্ট শেয়ার ও বিক্রি করা শুরু করলাম, কিন্তু এতো শেয়ার বিক্রি করবো, পাবলিক তো খাবে না, তাই একাউন্টেন্টকে বললাম, “লাস্ট ৩ মাসের আর্নিং দেখাও ২.৪০ কোটি টাকা লাভ”।

একাউন্টেন্ট বললো, “স্যার, সারা বছর কোম্পানি লাভ করে ১.২০ কোটি টাকা, আর ৩ মাসে কিভাবে ২.৪০ কোটি টাকা লাভ দেখাবো?”

আমি জবাব দিলাম, “ঢাকা ইউনিভার্সিটি থেকে কি নকল করে পাশ করছো? ৩ মাসের লাভ দেখাবা ২.৪০ কোটি টাকা, এরপরের ৯ মাসের আর্নিং এ ১.২০ কোটি টাকা লস দেখিয়ে এডজাস্ট করে দিবা, সোজা হিসাব।”

মাত্র ১ পিস্ শেয়ার মানে ১০ টাকার একটা শেয়ার কেবল নিজের কাছে রাখলাম, আর বাকি সব শেয়ার বিক্রি করে দিলাম, নিজের পকেট এ ঢুকলাম আরো ১০০ কোটি।

পাব্লিকের থেকে খাওয়ার আর কিছু নাই,
এবার কোম্পানি ফোকাস করা শুরু করলাম,
ABC Limited প্রতি বছর ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা প্রফিট করছে।
কোম্পানির এম.ডি. এবং চেয়ারম্যান এর স্যালারী ধরলাম ৫০ লক্ষ টাকা।

লিমিটেড কোম্পানি গঠন করেই ব্যবসা শুরু করা প্রয়োজন কেন?

লিমিটেড কোম্পানি গঠন করেই ব্যবসা শুরু করা একান্ত প্রয়োজনীয় কেন? আমি মনে করি যেকোন নতুন উদ্যোক্তা এবং সাধারণ ব্যবসায়ী ইচ্ছে করলেই তার ব্যবসা শুরু করার পূর্বেই জয়েন্ট স্টক এর মাধ্যমে 𝐋𝐢𝐦𝐢𝐭𝐞𝐝 কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন করেই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।

কারণঃ শুধুমাত্র একটি ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে ব্যবসা শুরু করার পরও দীর্ঘদিন কঠিন পরিশ্রম করে ব্যবসাটি দাঁড় করানোর পর দেখা যায়, ব্যবসা রিলেটেড বিভিন্ন ধরনের কাগজ-পত্র সংগ্রহ করতে গিয়ে যেকোনো প্রয়োজনে ব্যবসাটি প্রাইভেট 𝐋𝐢𝐦𝐢𝐭𝐞𝐝 কোম্পানি রেজিস্ট্রেশ করার প্রয়োজন দেখা দেয়।

কিন্তু ততক্ষণে অন্য কেউ উক্ত নামের রেজিষ্ট্রেশন গ্রহণ করে নিয়ে যেতে পারে এবং আপনি কোম্পানি করার সুযোগ নাও পেতে পারেন, কারন ততদিনে অন্য কেও কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন করে ফেলেছে।

✅ লিমিটেড কোম্পানীর লাইসেন্স এর সুবিধাঃ
✅ কোম্পানির বৃহদায়তন উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করা যায়।
✅ কোম্পানির প্রতি জনগণের আস্থা বেশি থাকে।
✅ কোম্পানির চিরন্তন অস্তিত্ব থাকে।
✅ যার মাধ্যমে আপনি খুব সহজে দেশের সকল জায়গায় আপনার প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন।
✅ এছাড়া বিনিয়োগকারী পেয়ে যাবেন খুব সহজে যদি আপনার লিমিটেড কোম্পানির লাইসেন্স থেকে থাকে।
✅ যেমন ব্যাংক লোণ পেতে, প্রোজেক্ট লোণ পেতে, সামাজিক মর্যাদার ক্ষেত্রে, সাপ্লাই বা টেন্ডার আবেদনে সুবিধা, ব্যক্তি বা অন্যান্য কোম্পানি থেকে বিনিয়োগ পেতে সুবিধা, আন্তর্জাতিক পরিচয়ের ক্ষেত্রে, দেশব্যপি সম্মানের সাথে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে ইত্যাদি।
✅ বিনিয়োগকারীরাও আপনার কোম্পানিতে বা প্রতিষ্ঠানে অর্থ প্রদান করতে উৎসাহিত হবে। এতে আপনি খুব সহজেই আপনার ব্যবসা বৃদ্ধি করে, ব্যবসার মাধ্যমে অধিক লভ্যাংশ এবং ব্যবসাকে বড় করে বৃদ্ধি করে পরিবর্তন করতে পারবেন দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থারও।

এখনি সুযোগ ব্যবসায়িক কম্পিটিটরদের থেকে, নিজের প্রতিষ্ঠানকে একধাপ এগিয়ে রাখতে, লিমিটেড কোম্পানি রেজিষ্টেশন করুন, খুব সহজে, ঘরে বসেই।

জেড এইচ সিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

[woocatslider id=”2997″]

জয়নুল হক সিকদার সাহেবের কল্যাণমূলক কর্ম, যা আমাদের অবশ্যই জানা উচিৎ।

জীবনের প্রথমার্ধঃ Zainul Haque Sikder জয়নুল হক সিকদার ব্রিটিশ ভারতের আসামে জন্মগ্রহণ করেন ১২ আগস্ট ১৯৩০ সালে। ভারত বিভাগের সময় তিনি পূর্ব বাংলায় চলে আসেন।

সূচনাঃ জয়নুল হক সিকদার একজন বাংলাদেশী ব্যবসায়ী এবং সিকদার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তিনি ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড, সিকদার রিয়েল এস্টেট লিমিটেড, সিকদার ফার্মা, মনোয়ারা সিকদার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, জেড এইচ সিকদার উইমেন্স মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং জেডএইচ শিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ পোস্টের মালিকও ছিলেন। এছাড়াও তিনি পাওয়ারপ্যাক ইকোনমিক জোন, পাওয়ার প্যাক হোল্ডিংস, পাওয়ার প্যাক পোর্টস এবং সিকদার ইন্স্যুরেন্সের মালিক ছিলেন।

কর্মজীবনঃ সিকদার রিয়েল এস্টেটে ব্যবসায়িক জীবন শুরু করেন। তিনি ১৯৫০-এর দশকে সিকদার গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে লড়েছেন। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫-এ বাংলাদেশে অভ্যুত্থানে শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর, সিকদার ১৯ আগস্ট ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের জন্য প্রার্থনার আয়োজন করেন। এ কারণে তাকে গ্রেফতার করে কারারুদ্ধ করা হয়।

১৯৯২ সালে সিকদার জেডএইচ সিকদার মহিলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি কোদালপুরে আবদুর রাজ্জাক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়, জরিনা সিকদার গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মনোয়ারা সিকদার গার্লস হাই স্কুল এবং মকফর উদ্দিন জাতীয় আইন কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।

২০০৯ সালে সিকদার ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড কিনে নেন। তিনি ম্যান্ডি ডেন্টাল কলেজ ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেন।

সিকদার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত কোই রিসোর্টের চেয়ারপারসন ছিলেন, যার সেন্ট কিট্‌স এবং নেভিসে একটি বিলাসবহুল রিসোর্ট রয়েছে।

ব্যক্তিগত জীবনঃ সিকদারের স্ত্রী মনোয়ারা সিকদার ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান হিসেবে তার স্থলাভিষিক্ত হন। তাদের পাঁচ ছেলে ও তিন মেয়ে। সিকদারের ছেলে রন হক সিকদার সিকদার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। দীপু হক সিকদার তার আরেক ছেলে রিক হক সিকদার সিকদার গ্রুপের পরিচালক। তার মেয়ে পারভীন হক সিকদার সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য। তার ছেলে নিক হক সিকদারও সিকদার গ্রুপের সঙ্গে জড়িত। তার বাকি ছেলে মমতাজুল হক সিকদার এবং মেয়েরা হলেন লিসা ফাতেমা হক সিকদার ও নাসিম সিকদার।

মৃত্যুঃ ২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ের সৌদি জার্মান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিকদার মারা যান। তিনি দুবাইয়ে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত জটিলতায় মারা গেছেন। তাকে- জেডএইচ সিকদার উইমেন্স মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে দাফন করা হয়।

এসইও SEO এর সম্পূর্ণ রূপ হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন।

এসইও SEO এর সম্পূর্ণ রূপ হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। বর্তমানে, আমরা গ্রাহকদের অনলাইন এবং অফলাইন ব্যবসা উপস্থাপন করার জন্য বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে ওয়েবসাইট তৈরি করি। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না কিভাবে একটি ওয়েবসাইটকে গুগলের প্রথম পাতায় আনতে হয়। যদি আপনার ওয়েবসাইটটি গুগল সার্চের প্রথম পৃষ্ঠায় না থাকে তবে অনলাইন অর্ডার পাওয়ার 1% সম্ভাবনাও নেই। আপনি যদি আপনার ব্যবসাকে অনলাইনে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে চান তাহলে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের কোনো বিকল্প নেই।

সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান বা সংক্ষেপে এসইও (SEO) হলো একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইট বা ওয়েবপৃষ্ঠাকে অনুসন্ধান বা সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারকারীদের অনুসন্ধান ফলাফলের তালিকায় প্রথম দিকে দেখানোর চেষ্টা করা বা সর্বোচ্চকরন করা। এসইও করা হয় যেনো কোনো ওয়েবসাইট বা এর আর্টিকেল অনুসন্ধান করলে ফলাফলের প্রথম পৃষ্ঠায় দেখা যায়। এসইও কোনো একক কাজ নয়, বরং বহুক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের কাজের সাথে সম্পৃক্ত একটি পদ্ধতি, বলা যায় সমন্বিত পদ্ধতি।

সাধারণত একটি সার্চ ইঞ্জিনের ওয়েব ক্রলার বা সার্চ রোবট বা সার্চ স্পাইডার প্রায় সবসময় ওয়েবে থাকা একটি ওয়েবপৃষ্ঠা অন্য ওয়েবপৃষ্ঠায় ও একই ভাবে এক ওয়েবসাইট থেকে অন্য ওয়েবসাইটে ঘুরে বেড়ায়। এই রোবট বা স্পাইডার বা ক্রলারসমূহ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে নিদির্ষ্ট শ্রেণীতে সজ্জিত করে এবং সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারকারীর খোজকৃত শব্দ বা শব্দগুচ্ছ অনুসারে সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফল পাতায় প্রদর্শন করে। এই ক্রলার বিভিন্ন বিষয়ের উপর গুরুত্ব প্রদান করে। বিষয় সমূহকে তিন ভাগে শ্রেণীবদ্ধ করা যায়। পৃষ্ঠার মধ্যে, প্রযুক্তিগত এবং পৃষ্ঠার বাইরে।

পৃষ্ঠার মধ্যে বা ওয়েবসাইটের ভিতরকার এসইওর বিষয়গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:
✅ ওয়েবসাইটের শিরোনাম বা নাম।
✅ ওয়েবসাইটের মেটা বিবরণ।
✅ ওয়েবসাইটের মেটা কিওয়ার্ড ট্যাগ।
✅ ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলোর শিরোনাম বা নাম।
✅ ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলোর অল্ট ট্যাগ।
✅ ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত ছবিগুলোর ক্যাপশন।
✅ ওয়েবসাইটের বিভিন্ন পৃষ্ঠার মধ্যে অন্ত:সংযোগ।
✅ ওয়েবসাইটের সাথে অন্য ওয়েবসাইটের বহি:সংযোগ।
✅ সংযোগকৃত শব্দ ইত্যাদি।

প্রযুক্তিগত এসইওর বিষয়গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:
✅ সাইটের গতি।
✅ মোবাইল-বন্ধব।
✅ ইনডেক্সিং।
✅ ক্রাউলাবিলিটি।
✅ সাইট আর্কিটেকচার।
✅ কাঠামোবদ্ধ উপাত্ত।
✅ নিরাপত্তা।

পৃষ্ঠার বাইরে বা ওয়েবসাইটের বাইরের এসইওর বিষয়সমুহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:
✅ সোশ্যাল শেয়ার বা সামাজিক সাইটগুলোতে আলোচনা।
✅ ব্যাকলিংক বা অন্য ওয়েবসাইটের সাথে সংযোগের সংখ্যা ইত্যাদি।

এই বিষয়গুলো নিশ্চিত করে ওয়েবসাইটকে অনুসন্ধান ইঞ্জিনের কাছে দৃষ্টিগোচর করার কাজটিই এসইও’র মূল কাজ পরিগণিত হয়। এছাড়া, ওয়েবসাইটকে বিভিন্ন অনুসন্ধান ইঞ্জিনের কাছে সমর্পণ, বিভিন্ন সম্ভাবনাময় ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন স্থাপন বা আদান-প্রদান ইত্যাদির মাধ্যমেও এসইও কাজ করে থাকে। সম্প্রতি অনুসন্ধান ইঞ্জিনগুলো যেকোন ওয়েবপৃষ্ঠা বা ওয়েবসাইটের সামাজিক প্লাটফর্মের ওপর গুরুত্ব দিয়ে র‌্যাংক প্রদান করছে। এক্ষেত্রে যে ওয়েবপৃষ্ঠা বা সাইটের সামাজিক প্লাটফর্ম যত উন্নত সে সাইটটি অনুসন্ধান ইঞ্জিনের প্রথম দিকে থাকার সম্ভবনা তত বেশি।

ইন্টারনেট সৃষ্টি এবং ব্যবহার যখন বাড়তে থাকে ঠিক তখন থেকেই মূলত এসইও (SEO)-এর যাত্রা শুরু হয়। যদিও তখন এসইও (SEO)-এর ব্যবহার বা এসইও এলগরিদম বর্তমান অবস্থার মত ছিলো না। যখন ইন্টারনেট এর জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে এবং এর ব্যবহার ও বাড়তে থাকে তখন সকল ওয়েবসাইটকে সংগঠিত করা বা একত্রিত করে ওয়েবসাইটগুলোতে শ্রেণিবিন্যাস করা খুব জরুরি হয়ে পড়ে। ঠিক তখনই অনুসন্ধান ইঞ্জিনের উন্নয়ন শুরু হয়ে যায় আর এটি করেন ওয়েবমাস্টারগণ। তারা মূলত অনুসন্ধান ইঞ্জিন ফলাফলের উপর প্রচুর পরিমাণে গবেষণা শুরু করেন এবং এভাবেই অনুসন্ধান ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন এর যাত্রা শুরু হয়।

১৯৯৫-১৯৯৬ এরপর ১৯৯৫ সালে এসইও প্রথম অফিসিয়ালভাবে যাত্রা শুরু করে। ইয়াহু ডেভেলপারগন সর্ব প্রথম এ্যালফ্যাবেটিক অপটিমাইজেশন হিসেবে যাত্রা শুরু করেন খুব বেশি সময় নয়, মাত্র ১ বছরেই অর্থাৎ ১৯৯৬ সালে এসইও এর ব্যাপকতা শুরু হয়। কী-ওয়ার্ড ডেনসিটি এর উপর ভিত্তি করে অনুসন্ধান ইঞ্জিন এলগরিদম করা হতো তখন।

১৯৯৮- ২০০৭ এরপর ১৯৯৭ সালের কোন এক সময় ইয়াহু ওয়েবমাস্টার ওয়েবসাইট জমাদান করে। এরপর ১৯৯৮-১৯৯৯ সালের কোন এক সময়ই গুগল জন্ম হয়। তখন গুগল সাম্প রুল শুরু করে এবং এর জন্য গুগল কে নতুন ভাবে এলগরিদম করতে হয়। তবে গুগলের এই সাম্প রুল ভাল ভাবে যাত্রা শুরু করতে আরও প্রায় ২-৩ বছর সময় লেগে যায়। এ সকল সাম্প ট্যাকটিকস নিয়ে ২০০০-২০০৭ সালের দিকে গুগলের এসইও এক্সপার্টরা র‍্যাংক ভিত্তিক ওয়েবসাইটগুলো ক্যাটাগরি অনুযায়ী শ্রেণীবিন্যাস করা শুরু করে। কিন্তু এ সময় কিছু সমস্যা ছিল তখন এসইও এর পুরাতন নিয়ম অনুযায়ী এসইও এক্সপার্টগন তাদের ওয়েবসাইটি অনুসন্ধান ইঞ্জিনে জমা করতেন এবং ডিরেকটরি টাইপের কিছু লিংক বিল্ডিং করতেন। কিন্তু সমস্যা হল এ নিয়ম অনুযায়ী অনেক লুকানো পৃষ্ঠা সৃষ্টি করা হত এবং কী-ওয়ার্ড স্টাফই এর মধ্যে ছিলো। এ সকল সমস্যার সমাধান করতে অনুসন্ধান ইঞ্জিন গুগল নতুন ভাবে নিয়ে এলো গুগল ক্রলার। অনুসন্ধান ইঞ্জিন এর সাথে ক্রলার সিস্টেম যুক্ত হওয়ার পর এসইও তে কী-ওয়ার্ড স্টাফিং ও কমে আসলো । এভাবে মূলত আধুনিক এসইও এর যাত্রা শুরু হয়।

গুগল, বিং এবং ইয়াহুর এর মতো নেতৃস্থানীয় অনুসন্ধান ইঞ্জিন, তাদের অ্যালগরিদমিক অনুসন্ধানের ফলাফলের জন্য পৃষ্ঠা খুঁজতে ক্রলার ব্যবহার করে। অন্যান্য অনুসন্ধান ইঞ্জিন কর্তৃক ইন্ডেক্সকৃত পৃষ্ঠা থেকে লিঙ্ক করা পৃষ্ঠা জমা দেওয়ার প্রয়োজন নেই কারণ তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাওয়া যায়। ইয়াহু নির্দেশিকা এবং DMOZ, দুটি প্রধান ডিরেক্টরি যা ২০১৪ এবং ২০১৭ সালে বন্ধ হয়ে যায়, উভয়ের জন্যেই প্রয়োজনীয় ম্যানুয়াল জমা এবং মানব সম্পাদকীয় পর্যালোচনা প্রয়োজন হতো। গুগল অনুসন্ধান কনসোল প্রদান করে, যার জন্য একটি এক্সএমএল সাইটম্যাপ ফিড তৈরি করা যায় এবং সবগুলো পৃষ্ঠা পাওয়া যায়, বিশেষ করে এমন পৃষ্ঠা যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে লিঙ্কগুলি অনুসরণ করে আবিষ্কারযোগ্য নয় তাদের ইউআরএল জমা কনসোল ছাড়াও। ইয়াহু পূর্বে একটি প্রদেয় পরিষেবা প্রদান করে যা প্রতি ক্লিকের জন্য মূল্য প্রদানের নিশ্চয়তা প্রদান করে; যাইহোক, এই অনুশীলনটি ২০০৯ সালে বাতিল করা হয়।

হোয়াইট হ্যাট এস ই ও হচ্ছে, যে পদ্ধতিতে গুগল এর সকল নীতিমালা মেনে সম্পূর্ণ বৈধভাবে একটি সাইটকে প্রথম পৃষ্ঠায় নিয়ে আসার চেষ্টা করা হয়। এস ই ও বলতে হোয়াইট হ্যাট এস ই ও কেই বোঝানো হয়। হোয়াইট হ্যাট এস ই ও অনেক কষ্টকর। কিন্তু, এটি ঝুঁকিমুক্ত। এর ঠিক বিপরীত হোল ব্ল্যাক হ্যাট এস ই ও। যেহেতু অনুসন্ধান ইঞ্জিন মানুষ নয়, তাই এর সাথে বিভিন্নভাবে প্রতারণা করার সুযোগ রয়েছে। এই প্রতারণা পদ্ধতিগুলোর মধ্যে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি হচ্ছে স্প্যামিং। স্প্যামিং করে খুব সহজেই একটি সাইটকে গুগোল এর প্রথম পৃষ্ঠায় নিয়ে আসা যায়। কিন্তু, যদি একবার সেই কৌশল গুগল এর কাছে ধরা পরে, তবে গুগোল তাকে কালো তালিকায় ফেলে দেয়। ওই সাইটকে গুগল তার ইনডেক্স থেকে মুছে ফেলে।

Are You Looking for Search Engine Optimization (SEO) Service?
Email for Details About the Service: planner@zarubel.com

সফল ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য কয়েকটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূণ।

ব্র্যান্ডিং কেনো গুরুত্বপূর্ণ?
Successful Branding সফল ব্র্যান্ডিংয়ের জন্য কয়েকটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূণ।

১। আপনার প্রতিষ্ঠানের লোগোটি হতে হবে অর্থবহ। কারণ এই লোগোই আপনার ব্র্যান্ডের চেহারা। এটা দিয়েই ব্র্যান্ডের সাথে মানুষের প্রথম পরিচয়।

২। এরপর আছে ফন্ট! যেহেতু এখন ডিজিটাল যুগ আর পণ্যের জন্য কন্টেন্ট তৈরি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, সেহেতু এইসব কন্টেন্টে যাতে নির্দিষ্ট কয়েকটি ফন্টই ব্যবহার করা হয়। এতে কন্টেন্টের ধারাবাহিকতা থাকে।

৩। কালার স্কিমের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার। আপনার পণ্যের কমিউনিকেশনে অবশ্যই নির্দিষ্ট কালার স্কিম থাকা প্রয়োজন। কারণ ব্র্যান্ড মনে রাখার ক্ষেত্রে রঙ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

৪। এরপর গ্রাফিক স্টাইলিংয়েও নজর দেয়া প্রয়োজন। নির্দিষ্ট স্টাইল পছন্দ করে সেই স্টাইলের ধারাবাহিকতা রাখলেই মানুষ আকৃষ্ট হবে আর ব্র্যান্ড হিসাবে আপনারও একটা আলাদা ইমেজ তৈরি হবে!

Google প্রোডাক্ট এন্ড সার্ভিস লিস্ট।

[woocatslider id=”2997″]

Stop! Think!! What can happen if the Google Products and Services is off for 24 hours!? List of Google Products and Services:

☑️ Search Tools
a. Google Search
b. Google Alerts
c. Google Assistant
d. Google Books
e. Google Dataset Search
f. Google Flights
g. Google Images
h. Google Shopping
i. Google Travel
j. Google Videos

☑️ Groupings of Articles
a. Google Arts & Culture
b. Google Books
c. Google Finance
d. Google News
e. Google Patents
f. Google Scholar
g. YouTube

☑️ Advertising Services
a. Google Ads
b. AdMob
c. Google AdSense
d. Google Ad Manager
e. Google Marketing Platform
f. Google Tag Manager

☑️ Communication and Publishing Tools
a. Blogger
b. Feed Burner
c. Google Chat
d. Google Classroom
e. Google Duo
f. Google Fonts
g. Google Groups
h. Google Meet
i. Google Voice

☑️ Productivity Tools
a. Gmail
b. Google Account
c. Google Calendar
d. Google Charts
e. Google Domains
f. Google Docs Editors
g. Google Drive
h. Google Jamboard
i. Google Translate

☑️ Map-related Products
a. Google Maps
b. Google My Maps
c. Google Maps Gallery
d. Google Mars
e. Google Moon
f. Google Street View
g. Google Sky
h. Google Santa Tracker

☑️ Statistical Tools
a. Google Analytics
b. Google Ngram Viewer
c. Google Public Data Explorer
d. TensorFlow
e. Google Trends
f. Google Activity Report
g. Looker Studio

☑️ Business-oriented Products
a. Google Workspace
b. Google My Business.
c. Google Tables (beta)

☑️ Healthcare Related Products
a. Google ARDA project
b. Google Care Studio
c. Google Fit
d. Health Connect (beta)

☑️ Developer Tools
a. Accelerated Mobile Pages (AMP)
b. Google App Engine
c. Google Developers – open source
d. Dart
e. Flutter
f. Go
g. Open Social
h. Google Page Speed Tools
i. Google Web Toolkit
j. Google Search Console
k. GN – meta-build
l. Google test
m. Bazel
n. Flat Buffers
o. Protocol Buffers
p. Shaders
q. American fuzzy lop
r. Google Guava
s. Google Closure Tools
t. Google Collaboratory

☑️ Security Tools

  • reCAPTCHA
  • Google Safe Browsing
  • Titan Security Key

☑️ Operating Systems

  • Android
  • Cast OS
  • ChromeOS
  • Glass OS
  • Fuchsia

☑️ Desktop Applications

  • AdWords Editor
  • Drive File Stream
  • Google Chrome
  • Google Earth
  • Google IME
  • Google Japanese Input
  • Google Pinyin
  • Android Studio
  • Google Web Designer
  • Backup and Sync
  • Tilt Brush
  • Google Trends Screensaver

☑️ Product Families

  • Google Pixel
  • Google Nest
  • Google Chromecast
  • Fitbit
  • Google Glass
  • Stadia Controller
  • Jamboard

☑️ Services

  • Google Cloud Platform
  • Google Crisis Response
  • Google Fi Wireless
  • Google Get Your Business Online
  • Google Public DNS
  • Google Person Finder
  • Google Firebase
  • Google Cast
  • Google Pay
  • YouTube TV

There are many more…